শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

তালায় সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা 

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি 

তালায় সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা 

সাতক্ষীরার তালার আঠারমাইল-কয়রা ভায়া তালা ২৬৭৬০৪ নং সড়কের বাঁক সরলীকরণে অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন জেলা জজ আদালত। 

গত রোববার অধিকৃত জমির মালিক তালার গোপালপুর গ্রামের অশোক দেবনাথের পক্ষে সুবীর দেবনাথের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল  এ আদেশ দেন। 

মামলার আদেশপত্র সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার মাঝিয়াড়া মৌজার ৯১৮নং খতিয়ানের ১৮৩৭নং দাগসহ ৬টি দাগের ১ একর ৬০ শতক জমির মধ্য হতে ৬ শতক জমি ক্রয় করেন অশোক দেবনাথ ও শিরিনা সুলতানা। ওয়ারেশ সূত্রে মালিক হয়ে কাজী ইসরাফিল হক এ জমি বিক্রয় করেন। তিনি তালার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে। 

মামলার আবেদনপত্র সূত্রে জানা যায়, মামলার বিবাদী রহিমা বেগম জোরপূর্বক জায়গা দখল করে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নিজের দখলে রাখেন। 

তিনি তালার মৃত কাজী জালাল উদ্দীনের মেয়ে। পরবর্তীতে তিনি সরকারি অধিগ্রহণের প্রাপ্য টাকা উঠিয়ে আত্মসাত করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালতে মামলা করেন ভূক্তভোগী। যার নং সাতক্ষীরা পি-২৪৫৪/২৩।

ভূক্তভোগী সুবীর দেবনাথ বলেন, ২০১৮ সালে ৩৭৭৩নং কোবলা দলিলমূলে মাঝিয়াড়া মৌজার ৯১৮ নং খতিয়ানের ১৮৩৬, ১৮৩৭, ১৮৩৮, ১৮৪০, ১৮৪১, ১৮৪৩, ১৮২৯ ও ১৮৩৬ নং দাগের ১ একর ৬০ শতক জমির মধ্য হতে ৬ শতক জমি ক্রয় করে পাঁকা দোকানঘর তৈরি করি। যার সরকারি হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯৫৬৭১ টাকা। এখনো পর্যন্ত জমি ও দোকান ঘর আমার দখলে আছে। 

বিবাদী ভুল বুঝিয়ে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নেন। সে কারণে আমি আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এই আদেশের কপি সহকারী কমিশনার (ভূমি), তালা থানা ওসি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে।

এলাকায় না থাকায় বিবাদী রহিমা বেগমের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তালা থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, আদালতের একটি আদেশ পেয়েছি। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টিএইচ